শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে কোলা ইউনিয়নের খালকোলা (বৃত্তিপাড়া) গ্রামের আব্দুল রউফের ছেলে আল-আমিনসহ অপর এক যুবক ওই ছাত্রীকে একটি মাঠের মধ্যে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে হাত-পা ও মুখ বেধে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। ধর্ষিতা ছাত্রী মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কোটবাগ দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষক আল-আমিনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে থানায় মামলার প্রস্তুতি হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আল-আমিন এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
ধর্ষিতার পিতা জানায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বাড়ির পাশে মোবাইল ফোনের চার্জার আনতে যায় তার মেয়ে। সে সময় চার্জার নিয়ে বাড়ি ফিরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা আল-আমিন ও তার সহযোগি তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে হাত পা ও মুখ বেঁধে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। রাতে পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে। শনিবার সকালে গ্রামের কৃষক মাঠে কাজ করতে গিয়ে ওই ছাত্রীটির হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় ধর্ষক আল-আমিনসহ অজ্ঞাত অপর এক ব্যক্তির নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ধর্ষক আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। অপরদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।